ইসলামী ব্যাংক (IBBL) এর দুর্নীতি

বাংলাদেশের বড় একটি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী ফেইসবুক এবং ইউটিউবের মতন পাব্লিক প্ল্যাটফর্মে একজন ব্যক্তিকে নিয়ে অপমানজনক, আপত্তিজনক এবং অশ্লীল কমেন্ট করেও পার পেয়ে যাবে এমনটি ভাবা যায়? একজন নারীকে রাতে ফোন করে ধমক দিবে, তার করা পোস্টের নীচে আপত্তিজনক পাব্লিক কমেন্ট করবে, এবং সেই প্রতিষ্ঠানটিকে অবগত করার পরেও তারা কোন পদক্ষেপ নিবে না, এটা কি সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। সিটি ব্যাংক, ইবিএল, ডিবিবিএল, এসআইবিএল বা ব্র্যাক ব্যাংক এর কোন কর্মচারীর এমন স্পর্ধা যে কখনও হবে না, যদি সেই কর্মী তার চাকুরী রাখতে চায়, তা মোটামুটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। 

কিন্তু ইসলামী ব্যাংক  (IBBL) এর কোন কর্মচারী যদি তাদের ক্লায়েন্ট ছাড়া আর কারো সাথে এমন হয়রানিমূলক এবং অগ্রহণীয় আচরণ করে থাকে তাহলে সে পার পেয়ে যাবে। কারণ তাদের কর্মচারীরা বাহিরে কি করে বা না করে সেটা দেখার বিষয় তাদের নয়। তাহলে ধরে নেয়া যেতে পারে যে, তাদের কোন কর্মচারী যদি কোন নারীকে ধর্ষণও করে, এবং সেই নারী ইসলামী ব্যাংক এর কোন ক্লায়েন্ট না হয়ে থাকেন, ইসলামী ব্যাংক  (IBBL) সেই কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবে না।        

ইসলামি ব্যাংকে হাবিব আহমেদ নামের একজন কর্মচারী আছে প্রাণী কল্যাণ এর সাথে জড়িত। তার একজন ব্যক্তির উপর মেজাজ খারাপ হয় যখন তার ধারণা হয়েছে যে সেই ব্যক্তি তার প্রতিপক্ষের একজনকে লিঙ্ক দিয়ে সাহায্য করেছে। তারপর তার মেজাজ আরও খারাপ হয় যখন সেই ব্যক্তি এই দেশের প্রাণী কল্যাণ সেকটরে চলা অপকর্ম নিয়ে লেখালেখি করে - যেমন ফান্ড চুরি, প্রাণীদের অ্যাবিউজ করা, নিজেদের ব্যক্তিগত রেশারেশির কারণে প্রাণীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া, ইত্যাদি। এসব লেখালেখির কারণে হাবিব আহমেদ সেই ব্যক্তির একটি পোষা বেড়াল গায়েব ও করে দিলো। আর যখন সেই ব্যক্তি পাগলের মতন তার হারানো বেড়ালটিকে খুঁজতে থাকে, তাকে শুনতে হয় হাবিব আহমেদ এর কাছ থেকে ফোনে ধমক এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এবং ইনবক্সে হাবিব আহমেদ এবং হাবিব আহমেদ এর গ্যাং এর ব্যক্তিদের কাছ থেকে অশ্লীল গালাগাল। এখানে আবার হাবিব আহমেদ বিশেষ করে কাজে লাগিয়েছে তাদের গ্যাং এর একজন অস্থিতিশীল মেয়েকে, যে কিনা মানসিক সমস্যাতে ভুগে।    






সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই হয়রানীর কথা ইসলামী ব্যাংককে জানানো হয়েছে তাদের প্রাক্তন ডিএমডির মাধ্যমে! এর পরেও যদি ইসলামি ব্যাংক বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব না দেয়, তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ (যারা তাদের ক্লায়েন্ট নয়), তাদের সাথে ওদের কর্মচারীরা কি করে থাকেন? 





হাবিব আহমেদ এর নামে কমপ্লেইন দেয়াতে কিন্তু আবার নাইম ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি (যিনি নিজেকে আদি গুরু ডেকে থাকে, কালুয়াস হোমস নামের একটি শেলটার চালায়) সেই গায়েব করা বেড়ালটিকে উদ্ধার করতে আর সাহায্য করবে না বলেছে (তিনি এক সময় বলেছিলো যে সাহায্য করবে)। তাহলে তো ইসলামী ব্যাংক এর কাছে হাবিব আহমেদ এর নামে কমপ্লেইন দিয়ে কোন লাভ তো হলোই না, বেড়াল খুঁজে পাওয়ার যেই আশা ছিলো, তাও চলে গেলো! সংক্ষেপে সেই ব্যক্তির উচিৎ ছিলো হাবিব আহমেদ এবং তার গ্যাং এর গালাগাল এবং হয়রানী নীরবে সহ্য করে যাওয়া। 

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী (যিনি ২০০১ সালে লতিফুর রহমান নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন) সাহেব একটি ভুল কথা বলেছেন - "Open your bank account with any other Islami Bank". ইসলামী ব্যাংক এর কর্মীদের হয়রানী থেকে বাঁচতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক এই অবশ্যই আপনার অ্যাকাউন্ট খুলবেন। 



Comments

Popular posts from this blog

পশু প্রেম ও মানবিকতা

সিটি কর্পোরেশনের সারমেয়নীতি