পশু প্রেম ও মানবিকতা

বাংলাদেশে পশুদের ভোট না থাকায় তাদের কোন অধিকারও নেই। তাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতনের মাত্রা আদালতে গিয়ে নালিশ করার বাকশক্তি না থাকায় কিছু হৃদয়বান মানুষের অনুকম্পার ওপর তাদের বাঁচা-মরা নির্ভর করে। বন্যার পানিতে অধিকাংশ স্থলভূমি ডুবে যাওয়ায় গর্তে বাস করা ইঁদুর, শিয়াল ইত্যাদি প্রাণীগুলো বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে লাঠি হাতে শিশু, কিশোরেরা তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলছে। ফসল খাওয়ার অভিযোগে মাও সে তুং ক্ষমতায় এসেই চড়–ই পাখি মারার নির্দেশ দিলে একদিনেই ৬৬ কোটি পাখি মেরে ফেলা হয়। কিন্তু প্রকৃতির শৃঙ্খলিত উপাদানগুলোর কোন একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। কারণ শস্য দানার পাশাপাশি চড়–ই পাখি নানা ধরনের পোকামাকড়ও খায়। চড়–ই পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় জ্যামিতিক হারে বেড়ে গেল সেসব পোকামাকড়ের সংখ্যা। পোকামাকড়ের আক্রমণে ফসল নষ্ট হলে চীনে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তাতে দেড় কোটি লোক না খেয়ে মরেছিল। প্রকৃতপক্ষে পশু, পাখিদের পক্ষ নিয়ে কোন মিছিল-মিটিং হয় না, বক্তৃতার জন্য মঞ্চ তৈরি হয় না। কিছু কিছু সংগঠন বাংলাদেশে প্রাণীদের নিয়ে কাজ করে; এমন নির্মম হত্যার বিরুদ্ধে তাদের আরও বেশি সোচ্চার হওয়া প্...